নভেম্বরের যুদ্ধবিরতিতে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনও হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন প্রায় ১৩০ জন।
কালো টি-শার্ট পরা অন্য বিক্ষোভকারীরা প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করে। সেগুলোতে লিখা ছিল, ‘তারা সেখানে মারা গেলে আপনি এখানে বসবেন না।’ এসময় তারা ‘এখন, এখন, এখনই তাদের ছেড়ে দাও!’ বলে স্লোগান দিয়েছিল।
আরও একটি বন্দি বিনিময়ের মধ্যস্থতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের সে প্রচেষ্টায় কোনও কাজ হচ্ছে না। হামাসকে ধ্বংস করার জন্য যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ইসরায়েল নিয়েছে এবং যেসব শর্ত হামাস দিয়েছে সেগুলো থেকে এক চুলও নড়তে রাজি নয় কোনও পক্ষ।
ইসরায়েল বলছে, জিম্মিদের মধ্যে ২৭ জন গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মৃত্যু দেশটিকে বিভ্রান্ত করেছে। তবে স্বজনদের আশঙ্কা, যুদ্ধের দামাম জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ভুলিয়ে দেবে। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভগুলো জাতীয় ঐক্যকে আরও মজবুত করেছিল বর্তমানে সেগুলো আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
জিম্মিদের পরিবার এবং তাদের সমর্থকরা নেতানিয়াহুর উপকূলীয় বাড়ির পাশাপাশি নেসেট ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ করতে শুরু করেছে।
এলি স্টিভির ছেলে ইদান গাজায় জিম্মি রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিম্মিরা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা তাকে ছাড়ব না।
জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে সপ্তাহান্তে নিয়মিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের এ সমাবেশ শক্তিশালী বিক্ষোভের দিকে ধাবিত হয়েছে। নির্বাচনের আগেই এটি কঠোর ডানপন্থী সরকারের পতন ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
২০২৩ সালে দেশটিতে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা সরকার বিরোধী গত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার জেরে বন্ধ হয়ে যায়। এসময় নিহত বা জিম্মিদের পরিবারের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে দেশটির রাজনৈতিক ফাটলগুলো একপাশে সরে যায়।
তবে বিধ্বংসী এ যুদ্ধ চতুর্থ মাসে গড়ালে এবং জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর পিছিয়ে থাকা দেশটির নেতৃত্ব পরিবর্তনের আহ্বান আরও জোরদার করেছে।