Newsvob.com.: রাজশাহী ব্যুরো : বাগমারায় থামছে না অবৈধ পুকুর খনন। এলাকা ভিত্তিক সিন্ডিকেট চক্র বন্যা পরবর্তীতে আবারও মেতে ওঠেছে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননে। তারা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এলাকার কিছু দালালদের অর্থের বিনিময়ে হাত করে প্রকাশ্য দিবালোকেই পুকুর খননের কার্যক্রম শুরু করছে। এ মনি এক পুকুর খননের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন সাজুরিয়া ও রামরামা গ্রামের একটি সিন্ডিকেট চক্র। যশোর বিলের উত্তর পশ্চিম কর্নারে বিশাল আয়তনের প্রায় ২৫০বিঘা জমির উপর পুকুর খনন কাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরো জানাযায় প্রায় ১সপ্তাহ আগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পুকুর খননের সময় এখানকার ভেকু গাড়ি ভাংচুর করা হলেও পুনরায় আবার মেতে উঠেছে পুকুর খনন চক্র।এ দিকে এই পুকুর খননের বিরুদ্ধে এবং এলাকায় জলাবদ্ধতার হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাকে এলাকাবাসীর পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি’র) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আবেদ আলী মোল্লা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের যশোর বিলের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই ফসলী মাঠ। সেখানে দক্ষিন সাজুরিয়া ও রামরামা মৌজায় যশোর বিলের উত্তর পশ্চিম কর্নারে বিশাল বিশাল আয়তনের প্রায় ২৫০ বিঘা জমির উপর পুকুর খনন শুরু করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। বিলে জলাবদ্ধতা ও ফসলহানীর কথা চিন্তা করে গ্রামের লোক তাদের পুকুর খনন কাজে বাঁধা দিতে গেলে তারা গ্রামবাসীকে মারপিট ও মিথা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এমনকি পুকুর খননকারীরা ছোট ছোট জমির মালিকদের না জানিয়ে এবং তাদেরকে কোন তোয়াক্কা না করে তাদের জমিতেও জোরপূর্বক পুকুর খনন করছে। এ ভাবে এই এলাকায় একের পর এক অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হলে কৃষি উৎপাদন বিপন্ন হবে এবং বোরো মৌসুমে কোনভাবে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হবে না। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, বাগমারায় আর পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। অভিযোগের বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
1