নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ : আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরাইল, হামাস, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা শেষে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অংশ হিসেবে বন্দী বিনিময়ের এই পর্যায়ে ইসরাইল ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিবে। অপরদিকে হামাস মুক্তি দিবে কমপক্ষে ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মি।
এদিকে শনিবার লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে একটি মিছিলের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন নামে এই মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের জন্য ডাকা হয়েছে। পার্ক হল থেকে হোয়াইট হল পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের মিছিল্ চলবে বলে জানা যায়।
“ব্রিটেনের আইন অনুসারে হামাস বা অন্য কোন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করা অবৈধ তাই, তাই তাদের সমর্থন করে এমন শব্দ বা ছবি ব্যবহার করা যাবে না”, এই মর্মে পুলিশ কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিতরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২ থেকে ৮৫ বছর বয়সী ১৩ জন ইসরাইলি নারী ও শিশুসহ ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় । কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও ১০ জন জিম্মি থাই নাগরিক এবং একজন ফিলিপিনোকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
এদিকে কারাবন্দী ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষ কিশোরকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইলি সরকার।
ইসরাইল জানিয়েছে চুক্তির মেয়াদ ৪ দিন থেকে বাড়িয়ে আরও একদিন যোগ করা হবে। হামাসের কাছ থেকে আরও ১০ জন জিম্মির মুক্তিরে জন্য তা বাড়ানো হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির ৪ দিনের মধ্যে আরও জিম্মির মুক্তির জন্য দোহা আর একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করবে বলে জানিয়েছেন কাতারের একজন মুখপাত্র।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হবার দিন আরও বাড়তে পারে এমন সম্ভাবনা বাস্তব। তিনি আরো জানান, নিখোঁজদের মধ্যে দুই আমেরিকান নারী ও চার বছর বয়সী এক আমেরিকান শিশুও রয়েছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির পর এক বিবৃতিতে আইসিআরসি বলেছে, ” এই তত্পরতায় অতিরিক্ত, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তাছাড়া গাজায় আটক জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের পশ্চিম তীরে স্থানান্তরের জন্যও তারা কাজ শুরু করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথম ব্যাচের জিম্মিদের মুক্তির পর বলেন, “ আমি আপনাদের, তাদের পরিবার এবং ইসরাইলের নাগরিকদের জোর দিয়ে বলছি, আমরা আমাদের সব জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।”
তেল আবিবে ইসরাইলিরা আর পশ্চিম তীরের বেতুইনা শহরে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি উপলক্ষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
হামাস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে নিশ্চিত করেছে, তাদের আক্রমণও বন্ধ হবে। এই গোষ্ঠীটিকে ব্রিটেন, যুক্ত্ররাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে।