1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. newsvob57@gmail.com : News VOB : News VOB
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেন্টমার্টিন রক্ষায় টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে: মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে খায়রুল বাসার সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টীম কর্তৃক অটক। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেফতার আজওয়াহ হজ ট্রাভেলস আয়োজিত হাজিদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে : উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে ৭ গোল বাংলাদেশের মেয়েদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক কারবারিসহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা পুলিশ

জার্মানির ছোট দলগুলোকে অনুদান দেয় সরকার

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৫৯ বার পঠিত হয়েছে

নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেক টাকার দরকার হয়।  পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন আর সভা-র‌্যালি আয়োজনের খরচ জোগাড় করা বড় দলগুলোর জন্য সহজ।  কিন্তু ছোট দলগুলো যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য সহায়তা করে জার্মান সরকার।

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য নানাভাবে অর্থ পেয়ে থাকে।  বিভিন্ন দলের সদস্যরা দল থেকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেন, যা বাধ্যতামূলক।  পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আলাদাভাবে দান গ্রহণের সুযোগ আছে।  তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা লবি গ্রুপের এই দান গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলো চালাকির আশ্রয় গ্রহণ করে।

জার্মান আইন অনুযায়ী, একটি দলকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ দান করলে সেটা ঘোষণা করতে হয়।  অর্থাৎ দলটি কার কাছ থেকে একবারে এই টাকা পেয়েছে, সেটা জনগণ যাতে জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।  কিন্তু এই আইনে একটা ফাঁক রয়ে গেছে।  সেটা হচ্ছে, পঞ্চাশ হাজার ইউরো বা তার নিচে যদি দান করা হয়, তাহলে সেটা আলাদাভাবে জানাতে হয় না।

নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে জার্মানির অনেক প্রতিষ্ঠান তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে একবারে টাকা না দিয়ে বছরজুড়ে টাকা দেয়।  এভাবে একটি প্রতিষ্ঠান তার পছন্দের দলকে বড় অংকের টাকা নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য দিতে পারে।  সুবিধা হচ্ছে, এতে করে প্রতিষ্ঠানটির রাজনৈতিক আনুগত্যের ব্যাপারটি সাধারণ মানুষ জানতে পারে না।
এর একটি নেতিবাচক দিক আছে।  আর তা হচ্ছে, একটি দল এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে, তাদের জন্য সুবিধাজনক কাজ করার একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হয়।  সাধারণ ভোটারদের সেটা না জানিয়ে করা হলে তা এক ধরনের প্রতারণার মধ্যেই পড়ে।

ফলে জার্মানির এই আইন পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে কোনো কোনো মহল থেকে। তাদের কথা হচ্ছে, আইনটা এমনভাবে করা হোক যাতে কোনো প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো দলকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ইউরোর বেশি দিতে না পারে।  পাশাপাশি কেউ যাতে বেনামে কোনো দলকে অর্থ দিতে না পারে, সেই দাবিও উঠেছে।  বর্তমানে একবারে ৫০০ ইউরো অবধি নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে যে কোনো দলকে দান করা যায়।

জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায়, গত বছর জাতীয় নির্বাচনের সময় সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছিল চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ এবং দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্যবসায়ীবান্ধব দল এফডিপি।  তাদের তুলনায় সবুজ দল এবং শ্রমিকবান্ধব এসপিডি’র অনুদানের পরিমান অনেক কম ছিল।

তবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে যাতে শুধু বড় দলগুলোই এগিয়ে না থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখে জার্মান রাষ্ট্র।  এক্ষেত্রে কিছুটা সমতা আনতে ছোট দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়া হয়।

আপনার স্যোশাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © News Voice of Bangladesh
Theme Customized BY LatestNews