Newsvob.com.: অনলাইন ডেস্কঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনিসুর রহমান (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৬), আবদুস সবুর (৩০) ও মামুনুর রশিদ (৩০)। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সুলতানপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাই আলী (২৬) ও মোশাকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসেন (২৪)।
এদিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ মোহাম্মদ জুয়েল (২৭) নামের একজনকে ৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার সময় সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে।
এ সময় তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমানের গায়ে ছররা গুলি লেগেছে। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাই মো. আলী (২৬), তার খালাতো ভাই মো. মিরাজ (২৪) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। জোর করে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ভোট দেয় নৌকা প্রার্থীও লোকজন। এ বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের কাছে জানালেও তারা বলেন সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় দেখে আমি বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনে সশস্ত্র অবস্থায় সাহেদের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে দুপুরে হাজীপুর ইউনিয়নের ১০৮নং কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় জুয়েল ও কামরুল হাসান নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম জুয়েলকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কামরুলকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আলাইয়াপুর ইউনিয়নের সুতালতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হা//ইসা