মমিনুল ইসলাম:
চাঁদপুরে মার্চ মাসে জাটকা ধরার দায়ে ১০৭ জেলেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়ে ১৯২ মন জাটকা, ৬৭ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক মাসে ২২৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ১ শ ৯২ মন জাটকা ও ৬৭ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। এই সময়ে ৬৩ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০৭ জেলেকে দণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে ৮১ জেলেকে এক বছর, সাতজনকে এক মাস এবং এক জেলেকে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১৮ জেলেকে ৯২ হাজার ৫ শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
চাঁদপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম)আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, জাটকা নিধন প্রতিরোধে ট্রাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আমাদের সঙ্গে নৌবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও কিছু জেলে ফাঁকি দিয়ে জাটকা ধরার চেষ্টা করে। তবে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, জাটকা রক্ষায় শতভাগ সফল না হলেও আন্তরিকতার কমতি নেই। নদীতে ২৪ ঘন্টা পাহারা দেয়ার মতো জনবল নেই।
তিনি বলেন, এ বছর মা ইলিশ ডিম ছাড়ায় নদীতে প্রচুর পরিমাণে জাটকা মাছ রয়েছে। জাল নদীতে ফেলে দিলেই ভরে যায়। এই লোভে অসাধু জেলেরা চুরি করে নদীতে জাটকা ধরে। আমরা তৎপর রয়েছি।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এ কর্মসূচির মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চর ভৈবরী পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী অংশকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।