বৈশাখের প্রথম প্রহরে খাবারের তালিকায় মানুষ চায় এক টুকরো ইলিশ ভাজির সঙ্গে এক থালা পান্তা। ইলিশের এই সংযোজন চৈত্রে মাছের বাজারে সবার বাড়তি নজর টানে। সবাই চায় একটা ভালো আকারের ইলিশ কিনতে। ফলে বাজারে চাহিদা যায় বেড়ে। অন্যদিকে এখন মৌসুম না হওয়ায় ইলিশের সরবরাহ কমে যায়। এতে অর্থনীতির স্বাভাবিক সূত্রে ইলিশের দামটা হু হু করে বেড়ে যায়। পটুয়াখালী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে আবহাওয়ার কারণে ইলিশ কম ধরা পড়ে। অন্যদিকে জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে। মৎস্য বিভাগ থেকে নিয়মিত নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলে নদীতে জেলেরা কম নামছেন। এ জন্য বাজারে তেমন একটা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম দুই গুণের ওপর বেড়েছে। এদিকে ইলিশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দাম বেড়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ জানা গেছে। তাঁরা বলেন, একে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। তারপর আবার বড় সাইজের ইলিশ মহাজনেরা কিনে মজুত করে রাখছেন। গতকাল চারটি ইলিশে এক কেজি হলে তা বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা দরে। দুটি ইলিশে এক কেজি হলে বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা দরে। এক কেজির একটু কম ওজনের প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এক কেজির থেকে বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এর থেকে বড় হলে সেই ইলিশ কেজিপ্রতি প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।