মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক নিয়ে এলো চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফোরজি। আর এর মধ্য দিয়ে অপারেটরটি উচ্চ গতির নেটওয়ার্কের প্রতিযোগিতায় সামিল হলো।
রোববার ৪৮তম বিজয় দিবসে ফোরজি’র ঘোষণা দেয়া হয়, এক্ষেত্রে খুব একটা আড়ম্বর করেনি অপারেটরটি।
অপারেটরটি বলছে, প্রথম দফায় গুলশান, নিকেতন, বারিধারা, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রমনা, মতিঝিল, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ফার্মগেট ও ধানমণ্ডিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ফোরজি সেবা পাওয়া যাবে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সারাদেশে দ্রুতগতির এ ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
অপারেটরটি জানিয়েছে, টেলিটক নেটওয়ার্কের স্পিড আপলোডের ক্ষেত্রে হবে ১৫ এমবিপিএস। ডাউনলোডের স্পিড হবে ৪০ এমবিপিএস।
এর আগে নভেম্বরে রাজধানীর ধানমণ্ডিসহ আশপাশের এলাকায় ফোরজি’র পরীক্ষামূলক সেবা শুরু করে অপারেটরটি।
টেলিটক বলছে, তাদের ফোরজি সেবা পেতে ফোর-জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেটের পাশাপাশি ২০১২ সালের আগে নেওয়া সব টু-জি বা থ্রি-জি সিম বদলাতে হবে। থ্রি-জি থেকে ফোর-জিতে মাইগ্রেট করতে হলে 4G লিখে সেন্ড করতে হবে 111 নম্বরে।
আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স পাওয়ার পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি অথবা এলটিই সংযোগ চালু করেছে মোবাইল সংযোগ সেবা দেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠান। ফোরজি সংযোগ চালু করা এসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলালিংক, গ্রামীণ ফোন এবং রবি। রাজধানী ঢাকার কিছু নির্দিষ্ট এলাকাসহ রাজধানীর বাইরেও চালু হয় বহুল প্রতীক্ষিত এ সেবা।
তিনটি প্রতিষ্ঠানের ১০ মাস পরে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা চালু করল রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক।