ডাঃ সুরভী আক্তার : আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল কিডনি বা বৃক্ক । আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনকারী অঙ্গ হল কিডনি বা বৃক্ক। শরীরে জমে থাকা নানা রকম বর্জ্য পদার্থ পরিশোধিত হয় কিডনি বা বৃক্কের মাধ্যমে।
কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের ফলে কিডনির নানা সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আসুন জেনে নেই কিডনি সুস্থ/ভাল রাখার কয়েকটি উপায়।
১• কিডনি সুস্থ/ভাল রাখতে প্রতিদিন অবশ্যই অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার (৪ গ্লাস খেকে ১২ গ্লাস)পানি পান করা জরুরি। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক সুস্থ জীবনে ফেরার আগে পর্যন্ত কতট পানি খাবেন, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২• প্রস্রাব কখনও আটকে/চেপে রাখবেন না। এতে মূত্রথলিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩•আপনার বয়স যদি চল্লিশ বছর বা তার চেয়ে বেশি হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস আর রক্তচাপ (ব্লাড প্রেশার) পরীক্ষা করান। ডায়বেটিস বা রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, তা নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
৪• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক (পেনকিলার) ওষুধ বা কোনও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা। মাত্রাতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ বা কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় ।
৫• ঘুম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমাতে না পারার সমস্যা নিয়মিত চলতে থাকলে কিডনিসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।