Newsvob.com.: রাজশাহী ব্যুরো মাসুদ রানা : এবার স্কুল শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি সাংবাদিক কে জানালে চাপাই প্রি ক্যাডেট স্কুলে সাংবাদিক সেখানে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও সহকারী শিক্ষিকাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মুলক বিষয় নিয়ে কথা হয়। এক পর্যায়ে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শ্লীলতাহানীর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান আমার হাতে ডিসি এসপি আছে, আমি মসজিদের ইমাম আমার পিছনে অনেকে নামাজ পড়ে আপনি আমার শ্লীলতাহানীর বিষয়ে বল্লে কেউ বিশ্বাস করবে না বলে জানান।
ওই শিক্ষিকার অভিযোগ করে বলেন ২০২০ ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখে সকালে ৮টার সময় স্কুলের একজন ছাত্রী কে টিসি দেবার কথা বলে আমাকে ডাকে। আমি যথা সময়ে ইস্কুলে পৌছায়। সেখানে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ ছাড়া আর কেউ ছিল না, এর আগে বিভিন্ন ভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। নির্দিষ্ট সময় ক্লাসের পরও তাকে থাকতে হতো অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার জন্য।
প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তাকে দিনের পর দিন অতিরিক্ত সময় থেকে যেতে হত স্কুলে। পরে তাকে পাশের ক্লাস রুমে নিয়ে বেঞ্চের উপরে শোয়ায়ে জোর পু্র্বক শ্লীলতাহানী করেন। অভিযোগ করেন শিক্ষিকা এরপর তিনি কান্না কাটি করলে তাকে ছেড়ে দেন। তাকে শ্লীলতাহানী করে প্রধান শিক্ষক তার কাছে ক্ষমাচান এবং বলেন তোমার মেয়ের কসম তুমি কাউকে বলো না এবং তাকে চাকরি হারানোর ভয় ও দেখানো হয়। পরবর্তীকালে তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিতে থাকে প্রধান শিক্ষক। ভয়ে সেই শিক্ষিকা মামলা করতে চাচ্ছে না।
কাউকে এই বিষয় জানালে, চাকরি চলে যাওয়ার হুমকি দেয় সে। তবে ভয় কাটিয়ে এই ঘটনাটি সাংবাদিক কে জানান শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের নামে চাদা বাজীর মিথ্যা অভিযোগ তুলে বলেন সাংবাদিক আমার কাছে ৫লক্ষ টাকা চেয়েছে। মেয়েটিকে ৫ লক্ষ টাকা মোহরনা দিয়ে বিয়ের কথা বল্লে তিনি এটা কে চাদা হিসেবে গন্য করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রয়েছেন আতংকে।