Newsvob.com.: বিশেষ প্রতিবেদনঃ এবার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার ৪ নং টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপনের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমি দখল করে জোরপূর্বক স্কুল নির্মানের অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ারপুর মৌজায় অবস্থিত বি এস ৩৭২ ও ৩৭৩ এর দুটি দাগের ৮+৮ করে মোট ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় সুত্রে ৮৯৯ নং দলিল মূলে মালিক থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন টিটা পানাইল চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রীর মাধ্যমে দান করে দেয়। কিন্তু দুঃখ জনক বিষয় হলো চেয়ারম্যান গং সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলোকভাবে টিটি হাটিপাড়া মৌজার বি এস ৭৭ এর ১৬১১ নং দাগে ২১৪ নং খতিয়ানের নুরুল ইসলাম গং এর মালিকানাধীন ১৩ শতাংশ জমির উপর জোর জবর দখল পূর্বক স্কুল নির্মানের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় জমির প্রকৃত মালিকগন ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের জমির উপর অবৈধভাবে স্কুল নির্মানের প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু চেয়ারম্যান বাহিনী তাদের কথা কর্নপাত না করে স্কুল নির্মানে কাজ চালাতে থাকে এবং নিদারুন কঠোরতার মাধ্যমে নিষ্ঠুরভাবে জমির মালিকদের তাড়িয়ে দেয়। ফলে জমির মালিকগন নিরুপায় হয়ে পড়ে এবং আদালতের দারস্ত হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহন করে এবং মামলার শুনানি শেষে উল্লেখিত সম্পত্তির স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য স্থানীয় থানায় পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করে আদেশ প্রেরন করে। কিন্তু অত্যন্ত নিদারুন মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে ততকালিন সময়ের থানা কর্তৃপক্ষ অফিসার ইনচার্জ আদালতের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না রেখে বরং বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে দুষ্কৃতিকারী চেয়ারম্যান বাহিনীর পক্ষ নিয়ে ন্যক্কারজনক কলঙ্কের জন্ম দেয়। সেই সাথে আদালতের আদেশের কপি পর্যন্ত নষ্ট করে ফেলে। এমতাবস্থায় উল্লেখিত জমির মালিকগন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যেমন শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি, শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রানালয়ের সচিবসহ অন্যান্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। আযব ব্যপার ! রক্ষক যখন ভক্ষক অর্থাৎ খিয়ানতকারির ভূৃমিকায় অবতির্ন হয়ে উতকোচের বিনিময়ে লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত হয়। তখন সাধারণ মানুষ আইনের আশ্রয় থেকেও বঞ্চিত হয়। হায়রে অভাগা জাতি! যখন মানুষের শেষ ভরসাস্থল আদালতের ন্যায় বিচার থেকে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের কবলে বঞ্চিত হয় তখন ভুক্তভোগীর অশ্রুশিক্ত নয়নের দির্ঘশ্বাস আর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। আর কতকাল দুর্বলের উপর সবলের পৈশাচিক জুলুম নির্জাতন অব্যাহতভাবে চলবে। জুলুমবাজ ইউপি চেয়ারম্যান অফিসার কর্মকর্তাদের দ্বারা আইন আদালতের ন্যায় বিচারের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হবে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে নানা ভয়ভীতি আতংক ও উদ্বেগ উতকন্ঠা বিরাজ করছে। কিভাবে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কৌশল করে অন্যের জমি গ্রাস করে স্কুল নির্মান করছে। তারা আদালতের অমান্য করে দেশের সংবিধান লংঘন করছে। অন্যদিকে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্যের বিষয় হল চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন তার পিতাকে এবার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য তিব্র প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। যে কোন মূল্যে এবার তার পিতাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা করেই ছাড়বে। এবং তারপর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তকমা লাগিয়ে আরো বেশি সুবিধা ভোগ করার বাসনায় মত্ত হয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান হিসেবে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতিতে একেবারে সয়লাব করে দিয়ে শুধু আখের গোছানোর ধান্ধায় ব্যাস্ত। তার কু- দৃষ্টির কোপানলে বহুলোকের জীবন বরবাদ। অবশেষে ভুমিখেকো দানবের ভূমিকায় অবতির্ন হয়ে নিরহ লোকের ভূমি গ্রাস করে অশ্রু জলে গাথা এক অভিসম্পদের স্কুল নির্মান করছে। পরিশেষে ভূক্তভোগী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী অবিলম্বে অন্যের জমিতে স্কুল ভবন নির্মানের বিষটির যথাযথ তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায় বিচার ফয়সালা করে সুষ্ঠ মিমাংসা করুন।