Newsvob.com.: অনলাইন ডেস্কঃ আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ গড়ে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৭ বলে ১২৫ রান করেন মুশফিক। জবাবে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং নামলে বৃষ্টি বাগড়া দেয়। বারবার বৃষ্টির বাধায় মোট ১০৯ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। শেষ দিকে বৃষ্টি আইনে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫। এই লক্ষ্য তাড়ায় ১৪১ রানেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ২৪৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ সাবধানী করে শ্রীলঙ্কা। তবে শুরুর ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট নেন অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন পেরেরা। এরপর শ্রীলঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাকে ফেরান মুস্তাফিজ। ইনিংসের ১৪তম ওভারে মুস্তাফিজের করা বলে শট হাঁকাতে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দুই বাউন্ডারিতে ৪৬ বলে ২৪ রানে ফিরেন তিনি।
মুস্তাফিজের পর লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেট নেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও। সাকিবের সঙ্গে জোড়া আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরপর উইকেটে হারানোর চাপ সামলে বেশি দূর যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। দুজনকেই এলবির ফাঁদে ফেলেন লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা। নিজের স্পেলের প্রথম বলে প্রথমে তামিমকে ফেরান। যদিও তামিমকে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান তিনি। ৬ বলে ১৩ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
একই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন তিনে ব্যাট করতে নামা সাকিবকে। চামিরার মিডল স্টাম্পে থাকা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। তাতে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সাকিব। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিডল স্টাম্পের উপরের দিকে লাগতো বলটি।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে ডুবে থাকা লিটন এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। দলীয় ৪৯ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দুই বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ২৫ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরে গেছেন লম্বা সময় পর একাদশে ফেরা সৈকতও।
দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাধেন মাহমুদউল্লাহ। ওই জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ পারলেন না থিতু হতে। ৪১ রানে তিনি ফিরলে ভাঙে ৮৭ রানের জুটি। এরপর শেষের দিকের ক্রিকেটারদের নিয়ে ২৪৬ রানের পুঁজি এনে দেন মুশফিক।