Newsvob.com.: অনলাইন ডেস্কঃ গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩ মিনিটে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেটের পাশের গলিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু কয়েকজনের সাথে ধস্তাধস্তি করছেন। তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য মিন্টু অস্ত্র বের করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাখালীতে সরকারি জমি দখল করে দুই তলা বাড়ি করেছেন মিন্টু।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেটের পাশের গলিতে কয়েকজনের সাথে ধস্তাধস্তি করছেন মিন্টু। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর গুলি করেন মিন্টু। এতে গুলিবিদ্ধ হন ভ্যান চালক রহিম। আবারও মার্কেটের লোকজন তার পিছু নিলে দুই রাউন্ড গুলি করেন মিন্টু। এতে গুলিবিদ্ধ হন গাড়ি চালক আমিনুর।
ডিএমপি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ জানান, বিকাশে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে অভিযুক্ত আরিফ টাকা পরিশোধ না করে চলে যেতে চাইলে তাকে আটকে রাখে লোকজন। পরে মনির, মিন্টুসহ পাঁচ জন আরিফকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
গুলিবিদ্ধ আমিনুর সোমবার মিন্টুসহ পাঁচ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মিন্টু, আরিফ ও মনিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড না চেয়েই আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।
মহাখালীতে মিন্টুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, দুই তলা ভবনের একটি কক্ষে তার অফিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে হয়েছে ভবনটি। প্রতি মাসে ভাড়া ওঠে প্রায় ২ লাখ টাকা।
মিন্টুর সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে উত্তর সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুর রহমান খান ইরানের। তবে তিনি দাবি করেন, মিন্টুর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার।