নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ : স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর বনানী থানার কড়াইলে গত ২ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২ টার সময় একদল সংঘবদ্ধ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাড়ী ঘর দোকান পাটে হামলা ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বহু জিনিস পত্রের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে। ভূক্তভোগীরা জানায় কড়াইল বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ জুয়েল সরকার ও রিপন সরকার প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে জোরাল কন্ঠে অশ্লীল গালি গালাজ ও হুমকি প্রদান করে।
তখন তাদের সাথে থাকা ফয়েজ সরকার, নাসির, কামাল,শুভ,সহিদুল, মাসুদ,রিফাত,তেল মোল্লা বাবুসহ তারা বিশ-ত্রিশজন সহযোগী সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গরা ব্যপক ভাংচুর হামলা চালায়। এ সময় তারা দশ বারটি দোকান কুপিয়ে ভাংচুর করে নিরিহ সাধারণ মানুষের মালামালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে। শুধু তাই নয় এমনকি তারা মৃত মানুষের সরঞ্জামের দোকানে পর্যন্ত হামলা করে কুপিয়ে বহু কফিনসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট করে। এ সময় স্থানীয় থানা পুলিশকে ফোন করা হলে, এ ঘটনায় বনানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে।
কিন্তু দুঃখ জনক বিষয় হল এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নাই। সুত্রে আরো জানা যায় তারা বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট কুমিল্লা ইজম চক্রের ভয়ংকর সন্ত্রাসী নাশকতাকারীর দল। এখন তারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লাভে ভোলপাল্টিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের মদদে এবং তারই ছত্র ছায়ায় আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের পতাকাতলে ঠাই নিয়ে নানা সন্ত্রাসী মাদক কারবার ও নাশকতা মূলোক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তারা কড়াইল বস্তির একাংশে আধিপত্ত বিস্তার করে সন্ত্রাসীদের রামরাজত্ব কয়েম করেছে।
তাদের দোর্দণ্ড দাপটের কাছে নিরিহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কবলে সবাই ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। এখনি ওই সব চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক কারবারি ও সমাজে ফেতনা ফ্যাসাদ নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলোক আইনত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত আহবান জানানো হয়।