Newsvob.com.: প্রতিবেদক ইমাম হাসান : ইমাম হাসানঃ সাম্প্রতিক কালে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা নির্বাচনীগ এলাকায় যে সকল উদিয়মান গুনি তরুন নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুগত হয়ে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণের প্রয়াসে এলাকার জনগনের উন্নয়ন কল্যাণে আপন মহিমায় ভাস্বর দীপ্তিতে অম্লান তার মধ্যে অন্যতম হল এম এ ওয়াহেদ। ফুল যেমন তার সুরভীকে নিজের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে না বরং তার সৌন্দর্য ও সুরভীকে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে ধন্য হয় জগতে। ঠিক তেমনি ভাবে এম এ ওয়াহেদ নিজের সমস্ত ধ্যান জ্ঞান অধ্যাবসায় ও সকল চেষ্টা সাধনা দ্বারা এলাকার আম মানুষের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন কল্যানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার মত উদার গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক উন্নয়নশীল চিন্তা চেতনা ও কর্মনিষ্ঠা গুনের মাষুষ ওই এলাকার জন্য “গড গিফ্টেড” মহান খোদা তায়ালার এক আশির্বাদ। আমরা সোসাল মিডিয়ার পক্ষ থেকে এই মহান ব্যাক্তি মহোদয়কে তার এ সব মহোতি কাজের জন্য সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই এবং সেই সাথে তার সু-সাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য উন্নতির কালে অবগতির বিষয় হল এক অনুসন্ধানী নিরীক্ষায় জানা যায় এম এ ওয়াহেদ স্থানীয় এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মুসলিম সন্তান, ছাত্রজীবনে স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে তার পথ চলা শুরু হয়। জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাত বাধা বিপত্তি চড়াই উতরাই পেরিয়ে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছেন।এ জন্য তিনি দীর্ঘকাল প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেছেন। সেখানেও তিনি দক্ষ ও নিষ্ঠার সাথে দলীয় কার্যক্রম সুচারুভাবে পালন করে প্রবাসী ভাইদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করে দলের ভাবমূর্তি চাঙ্গা করেছেন।
দেশে আসার পর এলাকাবাসীর আবেদন ও অনুরোধে বহু অর্থ ব্যয়ে তাদের বাসনা পূরণ করেন, যার মধ্যে রয়েছে আঙ্গার গাড়া ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয়ের সিমানা প্রাচীর ও জায়গাসহ তিন তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করেন দেন। আঙ্গার গাড়া জামে মসজিদ পূন-নির্মান ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, দৌলা আল-কুদ্দুস দাখিল মাদ্রাসার একতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মান,দৌলা বাজার জামে মসজিদের দুইতলা ভবন নির্মাণ, বালিয়া গড়া বাজার জামে মসজিদ নির্মান,হিজলী পাড়া মসজিদ নির্মান,পাঁচ গাও মসজিদ নির্মান,মল্লিক বাড়ী বাজার মাদ্রাসা নির্মাণ ও মসজিদ সংস্কার। ছিটার বাজার মসজিদ নির্মাণ, উপজেলার বিভিন্ন অর্থহীন পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার অর্থ দেওয়া এবং তাদের ছেলে -মেয়েদের বিবাহ দেওয়া, তাদের লেখা পড়ার জন্য বিশেষ অনুদান দেওয়া সর্বদা চলমান।
তার প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাতকে আরে শক্তিশালী ও বেগবান করার লক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী অংগ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যে কোন ধরনের আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বদা তার সু-দৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক গুনিজন ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সব সময় প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় ডাকাতিয়া ইউনিয়নের সাড়ে তিন কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করেন। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণীর ১২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতি বছর উপবৃত্তি প্রদান। প্রতি বছর এলাকার ১০ হাজার দরিদ্র মানুষের মধ্যে যাকাতের কাপড় ও নগত অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩২০টি হত দরিদ্র পরিবারকে টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়ে তাদের দুঃখ লাঘব করেছেন। প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে পবিত্র হজ্জ পালনের মাধ্যমে তাদের জীবনের সব চাইতে শ্রেষ্ঠ আকাঙ্ক্ষা পুরন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের শত লোকের চাকুরী দিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেকার সমস্যা দুরিকরনের পাশাপাশি দেশ অর্জন করছে বৈদেশিক মুদ্রা।
এ ছাড়া ভয়াবহ আতংক করোনা কালীন সময়ে সমগ্র ভালুকা এলাকার ২০ হাজার মানুষকে নগত অর্থসহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে খাদ্য সামগ্রী চাল,ডাল,আলু,তেল ও সাবানসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী স্যানিটাইজার ও পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক বিতরন করা হয়। স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন ও কল্যানে জরুরী প্রয়োজনে ময়মনসিংহ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ৫ টি অত্যাধুনিক ভি আই পি আইসিও বেড প্রদান করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ফিল্ড হাসপাতালে প্রচুর পরিমান অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন।
তাছাড়া ভালুকায় ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস, গ্যাস অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ সহ করোনায় আক্রান্ত রোগীকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রদান করেন। শুধু তাই নয় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে নগত অর্থ, সুক্ষ্ম খাদ্যসহ ২৫ লক্ষ টাকার ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। ভালুকা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা,স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হয়েছে। দলীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে বিপুল পরিমান অর্থনৈতিক সহায়তা চলমান রয়েছে।
আরো রয়েছে আখালিয়া বাজার মসজিদ নির্মাণ, হোসেনপুর বাজার মসজিদ সংস্কার, সামালিয়া পাড়া মসজিদ সংস্কার, কাচিনা বাজার মসজিদে ১১ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। ভালুকা পাচ রাস্তার মোড় মসজিদে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেন, ভালুকা মোচার ভিটা মসজিদের রড ও সিমেন্ট অনুদান দেন এবং পূর্ব ভালুকা মসজিদের রড-সিমেন্ট অনুদান প্রদান করেন। এমন কি ডাকাতিয়া ইউনিয়নের হাই-স্কুলের এস,এস,সি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তায় ১০ হাজার টাকা অনুদান চলমান রয়েছে।
এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে জনাব এম এ ওয়াহেদ এ প্রতিবেদককে বলেন আমি বিশ্বাস করি, মানুষ মানুষের জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তারই অনুপ্রেরণা নিয়ে মানবতার সেবায় সব সময় নিজেকে নিয়োজিত করে এসেছি। ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানদের জন্য তার সাহায্য সহযোগীতা বরাবরই উন্মুক্ত রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া বিশ্ব-মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এক নয়া দিগন্ত “স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা বিনির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাই আসুন সকল ভেদাভেদ ভূলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই। আসন্ন দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে পুনরায় ভোট দিয়ে প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে আমরা সকলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি।