নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ , আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শনিবার রাতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে তার সামরিক সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়ার জন্য ইসরাইলি বাহিনী জাবালিয়ায় তৎপরতা চালাচ্ছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে জাবালিয়ায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা পুনরায় বাড়ানোর প্রচেষ্টা আমরা শনাক্ত করার পর তা নির্মূল করার জন্য সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় প্রায় ৩০ জন হামাস সদস্যকে হত্যা করেছে সেখানে কর্মরত ইসরায়েলি বাহিনী ।
জাবালিয়ার ৪৫ বছর বয়সী বাসিন্দা সাঈদ জানিয়েছেন, “জাবালিয়ায় গতকাল থেকে আকাশ ও স্থলে বোমাবর্ষণ চলছে। এমন কোথাও নাই যেখানে হামলা চালানো হয় নাই। এমনকি স্কুলের নিকটবর্তী আবাসস্থলগুলোও রেহাই পায়নি।”
“যুদ্ধ আবারও শুরু হয়েছে,” তিনি রয়টার্সকে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে বলেন। “নতুন হামলা অনেক পরিবারকে এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করবে।”
গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় শহরতলী আল-জেইতুন এবং আল-সাবরাতেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী নতুন করে ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা ভারী বোমা বর্ষণে বহুতল আবাসিক ভবনসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসের খবর জানিয়েছে।
এসব এলাকার বেশির ভাগ অংশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে মাসখানেক আগে দাবি করেছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে ট্যাংক হামলা চালায়নি বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দা ও হামাসের গণমাধ্যম। তবে কিছু ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার শহরের প্রান্তে বেড়া অতিক্রম করলে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় বলে জানায় তারা।
শনিবার রাতে দেইর আল-বালাহ শহরে এক বিমান হামলায় দুই চিকিৎসক – বাবা ও তার ছেলে, নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা গাজার অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট ও মর্টার বোমা দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা জানায়, যোদ্ধারা হামলা রাফাতেও চালিয়েছে যেখানে ১০ লক্ষরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় তাদের প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়।
অপরদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ক্রমাগত বোমাবর্ষণে গাজা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং গভীর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।