NEWSBOb com: প্রতিবন্ধী শিশুরা এ সমাজেরই অংশ। নিয়মিত সেবা ও সাহায্য পেলে তারাও ফিরে আসতে পারে সমাজের মূল ধারায়। প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের পরম আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে নাটোরের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র। তাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিনামূল্যে চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্রটি। ইতোমধ্যে দুই হাজারের অধিক শিশুকে বিনামূল্যে প্রায় ৩৮ হাজার সেবা প্রদানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই কেন্দ্র। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে থেরাপী ভ্যান, প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিতরণ করছে সহায়ক উপকরণ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত সারাদেশে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের মধ্যে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই কেন্দ্রটি অন্যতম। মে ২০১২ স্থাপিত কেন্দ্রটিতে এ পর্যন্ত নিবন্ধনকৃত চিকিৎসা গ্রহীতা শিশুর সংখ্যা দুই হাজার ২১৪ জন। এসব শিশুরা ১২টি পর্যায়ে প্রায় ৩৮ হাজার সেবা গ্রহণ করেছে। শিশুদের পাশাপাশি নারী ও পুরুষরাও সেবা গ্রহন করছেন।
একজন ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট, একজন ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিষ্ট, ২ জন করে থেরাপী সহকারী ও টেকনিশিয়ানসহ ১০ দক্ষ জনবলে এই কেন্দ্রে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি এবং স্পীচ প্যাথলজি সেবা প্রদান করা হয়। শনিবার থেকে বুধবার- ৫ কর্ম দিবসে ৯ টা হতে ৫ টা পর্যন্ত সময়ে অটিজম, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অসু¯্য’তাজনিত প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রম ইত্যাদি অসুস্থতা জনিত শিশু এবং নারী-পুরুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, আই.এফ.টি, টেন্স, ই.এম.এস, এস.ডাব্লিউ.ডি, আই.আর.আর, ট্রাকশন সেটসহ মোট ৭৫টি আধুনিক যন্ত্রপাতির ২টি করে সেট সহযোগে শিশুসহ সেবা গ্রহীতারা এই কেন্দ্রে বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন।
নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সেবা গ্রহীতার প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩টি বিষয়ে সেবা গ্রহণ করে থাকেন। তবে স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি এবং অকুপেশনাল থেরাপি সেবা গ্রহণের আধিক্যের কথা জানিয়ে টেকনিশিয়ান সাদিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই দুইটি বিষয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন। থেরাপি সহকারী মাহমুদা খাতুন জানান, ইলেকট্রিক থেরাপি ও এক্সারসাইজ নিতে এই কেন্দ্রে উল্লেযোগ্য সংখ্যক রোগী আসেন।