নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ : জালালুর রশীদ খান: আজ অতিরিক্ত আইজিপি জনাব মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিপিএম, পিপিএম, সিআইডি জানান চক্র চট্টগ্রামের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ Tasmia Associates এর কাছ থেকে এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে। এরপর এই সিমগুলো মডেমের মাধ্যমে ল্যাপটপে/কম্পিউটারে কানেকশন করে। কানেকশনের করা হলে Zet Robatic Apps মাধ্যমে কানেকশনকৃত সিমের সিমের কন্ট্রোল চলে যায় অ্যাপস্ নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তিদের হাতে, যারা দুবাই অফিস করে এই ডিজিটাল হুন্ডির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
এই হুন্ডি চক্রটির মূল হোতা শহিদুল ইসলাম @ মামুন গত ২০২০ সাল হতে দুবাই থাকে। সেখানে মামুনসহ আরো ০৫ জন Zet Robatic Apps নিয়ন্ত্রণ করে। মালয়েশিয়ান সফটওয়্যার ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এই অ্যাপস্ কাস্টোমাইজ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখে এই চক্র। তখন এজেন্ট সিমগুলো বাংলাদেশে থাকলেও এর নিয়ন্ত্রণ তারা দুবাই বসে করতে পারে। দুবাই বসেই তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নম্বরে ক্যাশ-ইন এর মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে পারে।
এই হুন্ডির কাজে তারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিকট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। এই সংগ্রহকৃত অর্থ কোন নম্বরে বা ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রেরণ করতে হবে তা জেনে নেয় এই চক্র। তখন বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহকৃত এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপস্ ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে পাঠিয়ে দেয় এই চক্র। এই চক্র চট্টগ্রামের চাদগাঁও অবস্থিত বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ Tasmia Associates এর ১৫০ টি (একশত পঞ্চাশ) এজেন্ট সিম এর ব্যবহার করেছে।
গত জানুয়ারি/২০২৪ ইং হতে মার্চ/২০২৪ ইং পর্যন্ত এই চক্রটি আনুমানিক প্রায় ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা হুন্ডি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
অদ্য ২৮/০৩/২০২৪ ইং চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এই হুন্ডির সাথে সরাসরি জড়িত ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ নাসিম আহেমেদ (৬২), ২। ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), ৩। মোঃ কামরুজ্জামান (৩৩), ৪। মোঃ জহির উদ্দিন (৩৭) এবং ৫। মোঃ খায়রুল ইসলাম @ পিয়াস (৩৪)
উদ্ধারকৃত মালামাল :মোবাইল- ০৬ টি ,সীমকার্ড- ১৮ টি ,ল্যাপটপ- ০১ টি ,মডেম – ০৬ টি, টাকা- ২৮,৫১,২০০ টাকা (আটাশ লক্ষ একান্ন হাজার দুইশত)