নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ , আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর যে নির্মম আগ্রাসন চলছে তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ দিনে উপত্যকা জুড়ে অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।’
আবু উবাইদা আরও দাবি করেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর সেটাকে উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর পরের দিন মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং- গাজায় প্রবেশের একমাত্র দখল এবং রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য সরে যাওয়ার আদেশ জারি করে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক চাপ সত্তেও শহরটিতে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি শহরটি ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ শুরুর পর সীমান্ত শহরটির (রাফাহ) জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ লাখে পৌঁছেছিল। কারণ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল হিসেবে এই বিশাল সংখ্যক ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, যা গাজার মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ।
অন্যদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৬ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার শিশু এবং ৯ হাজার নারী রয়েছেন।