1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. newsvob57@gmail.com : News VOB : News VOB
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড় ক্ষতি এড়াতে জনবিরল এলাকায় বিমানটি নেওয়ার চেষ্টা করেন বৈমানিক তৌকির: আইএসপিআর উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক, পতাকা অর্ধনমিত রাখার ঘোষণা সেন্টমার্টিন রক্ষায় টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে: মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে খায়রুল বাসার সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টীম কর্তৃক অটক। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেফতার আজওয়াহ হজ ট্রাভেলস আয়োজিত হাজিদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে : উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে ৭ গোল বাংলাদেশের মেয়েদের

ওসমান পরিবারে তিন এমপি

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৫২ বার পঠিত হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের চমকপ্রদ ইতিহাস রয়েছে। প্রগতির পক্ষে সব লড়াইয়ে সামনের সারিতে থেকে নারায়ণগঞ্জে যে পরিবারটির উত্থান হয়েছিল সেই পরিবার থেকে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিন সদস্য। তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও জাপার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পারভীন ওসমান।

গত তিনটি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির দখলে। এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে লাঙ্গলের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়েছে ওসমান পরিবারে। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং তার বড় ভাই প্রয়াত সংসদ নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান মনোনয়ন চান।

শেষ পর্যন্ত দেবর সেলিম মনোনয়ন পেলেও বঞ্চিত হন ভাবি পারভীন। তবে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বঞ্চিত করলেন না পারভীন ওসমানকেও। তাকে করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।

নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের গোড়াপত্তন করেন সেলিম ও শামীম ওসমানের দাদা এম ওসমান আলী। ১৯২০ এর দশকে তিনি কুমিল্লা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসেন। তার সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো, রাজনীতি, ব্যবসা, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ওসমান আলী তখন থেকেই নারায়ণগঞ্জে সুপরিচিত হয়ে উঠেন।

ওসমান আলী ১৯৩৮ সালে নিজ গ্রামে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের তানজিম মুসাফিরখানা, রহমতুল্লাহ অডিটোরিয়াম ও গণপাঠাগার নির্মাণে তার অবদান ছিল। এসব জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯৪০ সালে ‘খান সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে তিনি ১৯৪৪ সালে উপাধি বর্জন করেন। ব্রিটিশদের উপাধি বর্জনের সাহসী সিদ্ধান্তের জন্যও সেসময় তিনি সমানভাবে প্রশংসিত হন।

লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু হলে ওসমান আলী নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনকে সংগঠিত করেন এবং বামপন্থী ও অন্যান্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করেন। ১৯৪৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ‘ঝুলন যাত্রা’কে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হিন্দু ও মুসলমানদের সমঝোতায় আনতে তিনি ভূমিকা রাখেন।

ওসমান আলী ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে (নারায়ণগঞ্জ দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা) ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহকে পরাজিত করে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর মুসলিম লিগের সভাপতি এবং ঢাকা জেলা মুসলিম লিগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর মুসলিম লিগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকা জেলা মুসলিম লিগে ঢাকার নবাবদের সঙ্গে প্রগতিশীল গ্রুপের মতবিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধে ওসমান আলী প্রগতিশীল গ্রুপকে সমর্থন করেন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নারায়ণগঞ্জে গণসংবর্ধনা দেন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ছিলেন এম ওসমান আলী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সেসময়ের রাজনীতিবিদরা তাকে অত্যন্ত সমীহ করতেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এ জন্য তিনি কারারুদ্ধ হন। ১৯৬২ সালের শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ওসমান আলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাপিডিয়ায় এম ওসমান আলী সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়, তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তার সম্পাদনায় ত্রিশের দশকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সবুজ বাঙলা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকায় লিখতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোহিতলাল মজুমদার, জসীমউদ্দীন, আবুল মনসুর আহমদ, অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, বন্দে আলী মিয়া, কাজী আবদুল ওদুদ, মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা প্রমুখ। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ তিনি প্রয়াত হন।

বাবার পথ ধরেই রাজনীতিতে এসে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ওসমান আলীর বড় ছেলে একেএম সামসুজ্জোহা। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে নির্বচনে তিনি সাংসদ হন। বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতির ময়দানে থাকা সামসুজ্জোহা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। মৃত্যুর ২৯তম বার্ষিকীতে এসে ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

আপনার স্যোশাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © News Voice of Bangladesh
Theme Customized BY LatestNews