কাপ্তাই প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ ঘন্টার উদ্বোধন। কাপ্তাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ১৫কেজি ওজনের একটি ঘন্টা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। বেলটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বুধবার(৩এপ্রিল) উদ্বোধন করেন চট্রগ্রাম বিদুৎ কেন্দ্র (বিউবো) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,কাপ্তাই বিউবো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরুল হাসান(অঃদাঃ),কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন,সাবেক প্রাধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন,শহীদ শামসুদ্দীন বালিকা উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হানিফ,কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জোবেদা আক্তার লাভলী, সকল শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ প্রমুখ। উলেখ্য ১৯৫৪সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হাওয়ার পর হতে প্রায় ৬৫বছর যাবত তিন কেজি ওজনের একটি ঘন্টা(বেল) দিয়ে কার্যক্রম অদ্যবতি চলে আসছিল।
ঘন্টাটি একেবারে পুরাতন এবং মধ্যে ভেঙ্গেগেছে। তাই বিউবো প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহমান স্কুলের প্রতি ভালবাসা স¥ৃতি স্বারুপ একটি ঘন্টা এ স্কুল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপহার প্রদান করেন। প্রধান প্রকৌশলী বলেন,আমার জানামতে এত বড় স্কুল ঘন্টা দেশের আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। চটগ্রামের কোন কারখানায় এত বড় ঘন্টা তৈরি করতে না পাড়ায় তিনি ঢাকা হতে ইসপাতের তৈরি এ ঘন্টাটি তৈরি করেন। তিনি জানান,এ ঘন্টাটি এত বড় এবং এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে চুরি করার মত কোন সুযোগ নেই। এ স্কুলের এবং বিউবোর বিভিন্ন দায়িত্ব থাকায় স্কুলকে ভালবেসে স্মৃতি স্বারুপ এক ঘন্টটি উপহার প্রদান করা হয়। এর আওয়াজ শুনে শিক্ষার্থীরা ক্লাশে আসবে নিয়মিত পড়া লেখা করবে।
প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানাযায়, ‘কখন ছুটি হবে কখন বাঁজবে সেই ঘন্টা‘ বাংলাদেশ চলচিচত্রের সেই বিখ্যাত ‘ছুটির ঘন্টার’ ছবির ঘন্টাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই ঐ পুরাতন ঘন্টা বাজিয়ে ছবিটি সম্পন্ন করেছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরুল হাসান বলেন,পুরাতনকে বিদায় আর নুতনকে বরণ করে নিতে হয়। তাই দীর্ঘ ৬৫ বছর পর বিশাল মনের বিশাল ঘন্টা পেয়ে আমরা সকলেই খুশি। আওয়াজ শুনে আমরা সহ সকল শিক্ষার্থী স্কুলমুখী হবে এবং সকলেই ছুটে আসবে বলে মন্তব্য করেন। ঘন্টাটি একনজর দেখার জন্য শিক্ষার্থী,অনেক অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিড় করতে দেখা যায়।