Newsvob.com.: নিজস্ব প্রতিবেদক ইমাম হাসান : এবার নেত্রকোনা-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী খসরুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বেশুমার অর্থ তসরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন ভুক্তভোগী নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ২৩/১০/২০২৩ ইং তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নেত্রকোনা শহরে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ তসরুপ করা হয়েছে। বর্তমান মহাজোট সরকারের মহা- উন্নয়ন যজ্ঞের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে লালসার মোহে অন্ধ হয়ে নীতি নৈতিকতা ও আদর্শ চরিত্র বিষর্জন দিয়ে তার প্রয়াত স্ত্রী কামরুন্নাহার দীনার মাধ্যমে গাজী নামের এক লোককে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ভরাটের কাজ পাইয়ে দেয়।
আর এ বিশাল মাটি ভরাটের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার স্ত্রী কামরুন্নাহার দীনা ঠিকাদার গাজীর কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা উতকোচ নেয়। তারা সরকারের গৃহীত প্রতিটি প্রকল্প থেকে ঘুষ দুর্নীতিকে আরো বেগবান করার জন্য একটি সিণ্ডিকেট তৈরি করে এবং সেই সিণ্ডিকেটের অন্যতম হোতা মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় কামরুন্নাহার দীনার ভাতিজা হারুনকে। তারপর শুরু হয় তাদের বহুমুখী বিভিন্ন ধান্ধা ও তদবির বাণিজ্য। ওই এলাকার এমন কোন তদবির নেই যা তারা করে নি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরীর তদ্বিরের নামে তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন এনজিও দপ্তরে চাকুরীসহ বিভিন্ন ফাইলের কাজের মাধ্যমে তারা প্রচুর পরিমান অর্থ নিয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত বেশীরভাগ অর্থ সঠিকভাবে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার না করে তারা আত্মসাৎ করেছে ।
শুধু তাই নয় এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিবন্ধী ভাতা বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতার নামে প্রত্যেকের নিকট থেকে পর্যন্ত মানুষরুপী এই রক্তচোষা হায়েনারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর চেয়ে আরো নিদারুন বিষয় হচ্ছে নগত অর্থের বিনিময়ে জামায়াত শিবির বিএনপি থেকে আগত ভূঁইফোড় নব্য হাইব্রিডদের একচেটিয়া সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। যার ফলে মূল আওয়ামীলীগের নিবেদিত নেতা কর্মীরা তাদের দোর্দণ্ড দাপটের কারনে অসহায় ও কোনঠাসা হয়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে।
এভাবে তারা নানা অনিয়ম দুর্নীতি ঘুষ কেলেঙ্কারির রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। এরই মাঝে এমপি খসরুর স্ত্রী কামরুন্নাহার দীনা ইন্তেকাল ফরমান তার ভবের লিলা সাঙ্গ হয়ে যায়। কিন্তু আফসোস যারা সারা জীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় জানমাল দিয়ে কাজ করে আসছে আজ তারা কোথায় ? তাদের একটু খোজ খবর নেওয়ার প্রয়োজনটুকু অনুভব করে না এ সব অর্থলোভী নেতা। তারা আছে তাদের স্বজনপ্রীতি আর স্বীয় পরিবার পরিজনের বিত্তবৈভব আর অগাত ধন সম্পদের লালসা নিবারণের ধান্ধায়।
এই জাতিয় লোকের কাছে দেশ জাতি ও রাজনীতি কোন কিছু নিরাপদ নয়। এরা অর্থ সম্পদের লালসায় দেশ জাতির সাথে ধর্ষকের ভুমিকায় অবতির্ন হয়ে নাফারমানি করে শুধু আখের গোছানোর নেশায় মত্ত থাকে। আর এরাই হল জনগনের আমানতের খিয়ানতকারী সবচেয়ে বড় বিস্বাসঘাতক দাগাবাজ । স্মার্ট বাংলাদেশের এবারের স্লোগান হোক শৃঙ্খলাহীন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ হটাও দেশ জাতি মাতৃভূমি বাচাও।