Newsvob.com.: অনলাইন ডেস্ক : ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের মতোই আরেক কালরাত্রি নামিয়ে আনার পাঁয়তারা করেছিল ফ্রিডম পার্টির কর্নেল ফারুক-রশীদরা ।
ফ্রিডম পার্টির ধানমন্ডি শাখার সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ওরফে ডাকাত মোস্তফা অগ্রভাগে ছিলেন এই খুনের মিশনে।
লিবিয়ায় অস্ত্র ও গ্রেনেড নিক্ষেপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী সেই মোস্তফাকেই এখন ফ্রিডম পার্টির হালের দোসররা ভদ্র ভাষায় ‘ব্যবসায়ী‘ অভিধায় ভূষিত করেছেন।
অথচ সেই ভয়ানক রাতে ৭৫‘র হায়েনাদের আদর্শে লালিত পালিত মোস্তফা, ডালিম–রশিদদের বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণের মুখে জীবনবাজি রেখে ওদের ধাওয়া করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের একদল নেতা–কর্মী।
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জোসেফ সেই প্রতিরোধের প্রথম সারির মুখ ছিলেন।
আজ তাকেই নেত্র নিউজ তারেক–বাবরের ভাষায় বলে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী‘। হায় সেলুকাস, কী বিচিত্র ওরা! ৭৫‘র খুনিদের গলায় গলা মিলানো নেত্র নিউজ তোমাদের বলছি, ‘এই লজ্জা রাখি কোথায়?’
বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবনের নাম ছিল ‘খাওয়া ভবন‘। সেই ভবনের প্রধান কর্তা, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক তার গুণধর শিষ্য, ‘লুকিং ফর শত্রুস‘ খ্যাত বাবর আলীকে দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করলেন। সেই তালিকায় ‘ইন‘ করানো হলো ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকায় ফ্রিডম পার্টিকে সব সময় দৌড়ের ওপর রাখা ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে।
তারেকের করা তালিকায় রাতারাতি শীর্ষ সন্ত্রাসীর টাইটেল পেলেন জোসেফ। আততায়ীর গুলিতে নিহত ফ্রিডম পার্টির ডাকাত মোস্তফাকে খুনের সাজানো মামলায় মৃত্যুদন্ডও দেওয়া হলো তাকে।
২০ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটানোর পর আ.লীগ ক্ষমতায় এসে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে খালাস দেন। স্বাভাবিক জীবনে এসে সংসার, ধর্ম–কর্ম নিয়ে জোসেফ অন্য আট দশটি সাধারণ মানুষের মতোন জীবন কাটালেও খুনির দলের সহ্য হচ্ছে না।
নতুন করে পোড় খাওয়া একজন ছাত্রলীগারের জীবন দুর্বিসহ করে তোলতে চক্রান্ত প্রতিনিয়ত। কখনও দৃশ্যপটে তাসনিম খলিল, ডেভিড বার্গম্যান বা কনক সারোয়ার। কিন্তু পর্দার আড়ালে এদের ‘গডফাদার‘ কিন্তু একজনই, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক।
মনে আছে কি মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের (আগের নাম সরকারি কমার্শিয়াল কলেজ) নির্বাচিত ভিপি ও সাবেক মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপুর কথা?
ফ্রিডম পার্টির ধানমন্ডি শাখার সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ওরফে ডাকাত মোস্তফা, আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘ত্রাস’ সানজেদুল হাসান ইমন ওরফে ক্যাপ্টেন ইমন যাকে খুন করেছিল দিনে–দুপুরে। সেই খুনের বিচার হয়নি আজও।
খুনি মোস্তফা কতিপয় কথিত মিডিয়ার দৌলতে ‘ব্যবসায়ী‘ আর শহীদ টিপুর সহোদর জোসেফ ওদের ভাষায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী‘। জোসেফকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দিয়েছিলেন, কিন্তু তার ভাই হত্যার বিচার কি করেছেন আপনারা? ফ্রিডম মোস্তফাকে সন্ত্রাসী বলতেই কেন এতো ‘গাত্রদাহ‘ আপনাদের? কবি আসলেই নীরব!