সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফ্রান্সের প্যারিসের রাজপথে নামে ২০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। এক পর্যায়ে যা সহিংস রুপ নেয়। পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপেও থামেনি পরিস্থিতি।
বিক্ষোভ হয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডসসহ আরো অনেক দেশে। করোনার ভয় আর বিধি নিষেধ বাধা হতে পারেনি।
এক আন্দোলনকারী বলছেন, ‘ফ্যাসিবাদ, বর্ণবাদ আর পুঁজিবাদ আকড়ে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে মার্কিনিরা। তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।’
তবে গেলো কয়েকদিনের সহিংসতা কিছুটা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মাঝেও শহরে শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন মার্কিনিরা। অনেক জায়গায় হাঁটু গেড়ে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদেরকেও।
সমাবেশ হয়েছে হোয়াইট হাউসের সামনে। ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা সদস্য। লস অ্যাঞ্জেলস আর নিউইয়র্কে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করায় আটক হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
এক বিক্ষোভকারী বলছেন, ‘সত্যি বলতে এই আন্দোলন বর্ণবৈষম্য রুখে দিবে এমনটা ভাবছি না। অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের সামনে এমন উদাহরণই রাখতে চাচ্ছি।’
পুলিশ অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষকে আটক করছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও ছাড় দিচ্ছে না তারা।
রয়টার্সের জরিপ বলছে, বেশিরভাগ আমেরিকানই বিক্ষোভের পক্ষে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নেয়া পদক্ষেপের বিপক্ষে।