NEWSBOb: আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা জারি এবং সেখানকার রাজনৈতিক দলের নেতাদের গৃহবন্দি করে রেখে আজ সংসদে রাজ্যটিতে কয়েক দশক ধরে আরোপিত ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাজ্যটিতে যে নতুন করে সংঘাত শুরু হবে তা বলাই বাহুল্য। কেননা কোনো কাশ্মিরী জনতা এ আইন কিছুতেই মেনে নিবে না। তবে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদে এই প্রস্তাব যে সহজেই পাস হবে তা বলাই বাহুল্য।
সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরু হতেই রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন অমিত। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হই হট্টগোল জুড়ে দেন। কয়েক মিনিটের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। এই ধরা তুলে নেয়া হলে বিলুপ্ত হবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধারার অধীনে ৩৫এ ধারারও বিলুপ্তি ঘটবে। আর এদিন আরো পরের দিকে তার এ প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সকালে বৈঠকে বসে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র সচিব ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারাও এই বৈঠকে ছিলেন। আর বৈঠকের পরই সংসদে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন অমিত।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানী শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ। গোটা রাজ্যে মোবাইল টেলিফোন আর ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি আর সাজ্জাদ লোনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বাতাসে নানা কথা ভেসে বেরাচ্ছিলো। এই রাজ্যটি নিয়ে মোদি সরকার যে কিছু একটা গোপন ফন্দি আঁটছেন তার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছিলো নানা কর্মকাণ্ডে। অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎ করেই কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল অতিরিক্ত সেনা। পর্যটকদেরও সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যায়। গন্ডোগোলের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে থাকে খাবারের দোকান আর পেট্রোল পাম্পগুলোতে।
সূত্র: আনন্দবাজার