Newsvob.com.: অনলাইন ডেস্কঃ জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পুড়ছে যশোরের জনপদ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এছাড়া লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্থি পাচ্ছেন না কোনো স্থানে। এতে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এই ধারা পুরো জ্যৈষ্ঠ মাস ঝুড়ে অব্যাহত থাকবে এমন বার্তা দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা যেনো সহ্য করার মতো না। তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষ। জ্যৈষ্ঠে খরতাপে অতিষ্ঠ জনজীবন। যেন কোথাও স্বস্তি নেই।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন- তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। আরো অন্তত ২ সপ্তাহ এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বাড়তে পারে গরমের তীব্রতা। দুই সপ্তাহ পরেই দেখা মিলতে পারে বৃষ্টির।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন- প্রাকৃতিক বাতাসটা আসছে না সেভাবে। আর জলীয় বাষ্পও খুব কম। যার ফলে শরীরে গরম বেশী অনুভুত হচ্ছে। যশোরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেনো বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদ্যুতের এই চরম লোডশেডিংয়ে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রেন্টাল আর কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ কেনা শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি তাদের ক্যাপাসিটি চার্জও দিতে হচ্ছে। ডলার সংকটে কয়লা কিনতে না পারায় আজ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুত খাতের মেগা প্রকল্প পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কমে যাবে জাতীয় গ্রিড থেকে। বন্ধ পায়রার জন্যও গুনতে হবে কোটি কোটি টাকার ক্যাপাসিটি চার্জ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বড় ধরনের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সেক্টর। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর কতিপয় অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িতরাই এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা। তাদের হাতেই জিম্মি হয়ে আছেন দেশের মানুষ। আর পুরো সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন পিডিবির এক অসীম ক্ষমতাধর ব্যক্তি।