NEWSVOb : কোর্ট রির্পোটার : যুদ্বাপরাধের বিচারজামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় যে কোন দিন কায়সারের আপিল শুনানি শুরু , একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর আসামি ও রাস্ট্রিয়পক্ষের চুড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। যে কোন দিন রায় ঘোষনা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেত্রিন্তে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ গতকাল বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান। একই বেঞ্চে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হবিগঞ্জের রাজাকার সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারের আপিল আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি শুরু হয়েছে।
আপিল বিভাগের চুড়ান্ত রায়ের রংপুরের আল বদর নেতা এটিএম আজহারের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদন্ড) বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে, আজহারের অভিযোগ থেকে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষনার জন্য দিন ধার্যের পর গতকাল সাংবাদিকদের তারা এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রংপুরের আল বদর বাহিনীর কমান্ডার জামায়াতের সহকারি সেত্রেক্রটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ৩০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছিল।
এটিএম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সে সময় তার নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুর এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ মতো বর্বরতা চালানো হয়। রায়ে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্কপ্পনা- ষরযন্তের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে তাকে মৃত্যুদ-াদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে খালাস চেয়ে ২৩৪০ পৃ®দ্বার আপিল করেন দন্ডিত এই যুদ্বাপরাধী। গত ১৮ জুন আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১৩ আগ®দ্ব এক আদেশে আপিল বিভাগ আসামিপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পর গত ১৮ জুন সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেত্রেক্রটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মনির। রাস্ট্রপক্ষের ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি আদালতের কাছে আজহারের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার দাবি জানান।
কায়সারের আপিল শুনানি শুরু : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত জাতীয় পার্টি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জের সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আসামি এটিএম আজহারের যুক্তি উপস্থাপনের পর এ শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এ সময় রাস্রাট্রপক্ষের ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মুক্তিযুদ্বের সময় হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডসহ ২২ বছরের কারাদন্ডা আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির সাজা বাতিল ও বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন তিনি।