1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. newsvob57@gmail.com : News VOB : News VOB
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে: মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে খায়রুল বাসার সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টীম কর্তৃক অটক। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেফতার আজওয়াহ হজ ট্রাভেলস আয়োজিত হাজিদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে : উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে ৭ গোল বাংলাদেশের মেয়েদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক কারবারিসহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা পুলিশ ৪০ কেজি গাঁজা ও পিকআপসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

বাংলাদেশের নিবন্ধিত এনজিও গুলোর পক্ষে অন্তর্বতীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আমাদের প্রত্যাশা

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭ বার পঠিত হয়েছে

 নিউস ভয়েস অফ বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্কঃ   :  বাংলাদেশে ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছামূলক সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ (নম্বর ৪৬) এর ৪(৩) ধারার অধীনে নিবন্ধিত এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও) গুলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, সাক্ষরতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার এবং নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি এনজিও গুলোর অবদান কোনো অংশে কম নহে। যার অংশীদার আপনি নিজে এবং আপনার উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই এই অর্জনের মহানায়ক। পৃথিবীর সকল দেশেই এনজিও গুলোর মর্যাদা থাকলেও বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে এনজিও গুলো সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ১৬ বছর ধরে সরকার এনজিও গুলোর কর্মপরিবেশ এবং সাংবিধানিক অধিকার বিপন্ন করে রেখেছে। দ্বীর্ঘদিন ধরে মহান জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যগন তাদের মুক্ত আলোচনায় স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এনজিও সেক্টরের বিরোদ্ধে নতুন নতুন কালো আইন করেন। যার ফলে বাংলাদেশের নিবন্ধিত এনজিও গুলোর জন্য বিগত ১৬টি বছর ছিলো একটি দু:খজনক অধ্যায়।

১৯৯০ দশকে বাংলাদেশ সরকার এনজিও বিষয়ক ব্যুরো গঠন করেছিলেন বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ ও বাস্তবায়নে শৃংখলভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এছাড়া দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেরটরি অথরিটি ও পিকেএসএফ গঠন করেছিলো ক্ষুদ্রঋন প্রদানে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এবং সরকার এনজিও ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে। এছাড়াও সরকার সাংবিধানিকভাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয়, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে জনসাধারনের জীবনমান উন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সামাজিক সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগি সংস্থা হিসেবে কাজ করার লক্ষ্যে এনজিও গুলোর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ থাকলেও গত ১৬ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে এনজিও গুলোর সাথে সরকার ও সরকারের প্রতিষ্ঠান গুলোর কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গের স্বার্থ রক্ষার্থে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। যার ফলে বর্তমানে এনজিও সেক্টর ধ্বংস হবার পথে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি এমডিজি অর্জন এবং এসডিজি অর্জনের প্রয়াসে ইতিমধ্যে এনজিও গুলো বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও রেখে যাবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আমাদের প্রত্যাশা:

১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান নতুন করে অথবা সংশোধন করার সময়ে সরকারের সাথে বাংলাদেশের এনজিও সেক্টরের মধ্যে কর্মপরিবেশসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সৃষ্টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
২. সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহিত সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশের নিবন্ধিত ছোট-বড় সকল এনজিও গুলোকে বৈষম্যহীনভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
৩. এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিবন্ধিত এনজিও গুলোর মধ্যে যেসকল এনজিও ক্ষুদ্রঋনের সাথে সংশ্লিষ্ট নেই সেসকল এনজিও গুলোকে সামাজিকভাবে টিকে থাকার জন্য জামানতবিহীন স্বল্পসুদে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য তফশিলভূক্ত ব্যাংক থেকে ফেরতযোগ্য ঋনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আজকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী পতন হয়েছে বলে, আমরা দ্বিতীয় বার স্বাধীনতার সুখ পেয়েছি বটে, তবে এনজিও গুলোর অধিকার পরিপূর্ণ ভাবে বুজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা স্বাধীন না। ক্ষমতা, শক্তি এবং অহংকার কখনো চিরস্থায়ি হয় না, প্রকৃতির অভিশাপেও হয় ধ্বংসের এবং পতনের কারন হয়ে থাকে, এটাই বাস্তবতা। পরিশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সকল মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
বাংলাদেশের নিবন্ধিত সকল এনজিওদের পক্ষে,
জালালুর রশীদ খান
চেয়ারম্যান
নবযুগ উন্নয়ন সংস্থা (নাস)

আপনার স্যোশাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © News Voice of Bangladesh
Theme Customized BY LatestNews